ফুলের বুকে যে মধু থাকে এমন বিষ্ময়কর গল্প আমি প্রথম শুনেছিলাম একটা প্রজাপতির কাছে। ছেলেবেলায় আমার একটা চিত্রল প্রজাপতি ছিলো আর ছিলো ঘাসফড়িঙের দিন। সে একদিন আমাকে তার অনেকগুলো প্রাচীন গল্পের মধ্য থেকে একটা শুনিয়েছিলো। একদিন শনিবার দুপুরে রূপকথার পুকুরে আমি আর তার জলরাঙা গল্প। কোত্থকে যে সব মধু আসে, কার বুকে যে যায়, আমি সবকিছু শুনেছি বিষ্ময়ে। তার ডানা ছিলো হলুদ সারা বিকেল। রঙ আর ভাঙচুর ছেলেবেলা। এমন অদ্ভুত সুন্দর ডানা নিয়ে সে যে উড়ে বেড়াতো, ঘুরে বেড়াতো, রোদের গালে চুমু খেতো, ফুলের বুকের মধু খেতো এতো সুন্দর করে!
সে আমার নাম ধরে ডাকতো। বলতো, মানব। তার ডানায় একটা মোটা শাদা দাগ ছিলো। হঠাৎ হঠাৎ সেটা কেঁদে উঠতো নদীর মতো। আমার মনে হতো প্রজাপতিটার ডানার আলাদা জীবন আছে। যে প্রজাপতির ডানার আলাদা জীবন থাকে তাকে কি বলে আমি জানতাম না । বকুল আমাকে বলেছিল তাকে বলে রুপকথা। তারপর থেকে প্রজাপতিটাকে আমি রুপকথা বলে ডেকেছি। বকুলও ডাকতো। বকুল ছিলো আমার খেলার সাথী। আমাদের বাড়ির পেছনে যে বাঁশঝাড় তার পেছনে যে স্বর্ণচাপার বাগান সেখানে আমরা সংসার সংসার খেলতাম। বকুল বলেতো আমি তার বর। আমিও বেশ কয়েকবার কিছু না বুঝেই মনে মনে বলেছি ‘বর’। আমি জানতাম না বর মানে কি? সে বলেছিলো ‘বর হলো গাধা। আর গাধা হলে তুমি’। গাধা আমি চিনি। আমি জানি, গ তে গাধা ফ তে ফুল। ফুল বলতে গোলাপ কৃষ্ণচূড়া বকুল।
বকুল বলেছিলো তার মা বলেছে সে বড় হয়ে গেছে। আমারও সাথে সাথে ইচ্ছে হলো বড় হয়ে যেতে। বকুল গাইতো। আমি বাজারে যেতাম। বাঁশপাতা কুড়িয়ে পলিথিনের ব্যাগে ভরে আনতাম যেন ইলিশ মাছ। ও নেচে নেচে হাঁটতো। আমি রিকসার চাকার রিং দিয়ে গাড়ি চালাতাম মুখে শব্দ করে। রূপকথা উড়ে গিয়ে বসতো বকুলের খোঁপায় মাথার ক্লিপের মতো। তারপর উড়ে উড়ে গ্রীবায়, হেসে হেসে বুকে। একদিন আমি বুঝে ফেলি রূপকথার অভিসন্ধি। আমি আর কিছু দেখতে পাইনি। কে যেন বাঁশের কঞ্চি দিয়ে আমাকে মারতে থাকে আর এসবের ধারলো ব্লেড আমাকে কেটে চলে। মুহুর্তেই ছুঁ মেরে আমি ছিঁড়ে ফেলি রুপকথার ডানা। আমার নরম হাতে লেগে থাকে হলুদ খুনের দাগ।
সে আমার নাম ধরে ডাকতো। বলতো, মানব। তার ডানায় একটা মোটা শাদা দাগ ছিলো। হঠাৎ হঠাৎ সেটা কেঁদে উঠতো নদীর মতো। আমার মনে হতো প্রজাপতিটার ডানার আলাদা জীবন আছে। যে প্রজাপতির ডানার আলাদা জীবন থাকে তাকে কি বলে আমি জানতাম না । বকুল আমাকে বলেছিল তাকে বলে রুপকথা। তারপর থেকে প্রজাপতিটাকে আমি রুপকথা বলে ডেকেছি। বকুলও ডাকতো। বকুল ছিলো আমার খেলার সাথী। আমাদের বাড়ির পেছনে যে বাঁশঝাড় তার পেছনে যে স্বর্ণচাপার বাগান সেখানে আমরা সংসার সংসার খেলতাম। বকুল বলেতো আমি তার বর। আমিও বেশ কয়েকবার কিছু না বুঝেই মনে মনে বলেছি ‘বর’। আমি জানতাম না বর মানে কি? সে বলেছিলো ‘বর হলো গাধা। আর গাধা হলে তুমি’। গাধা আমি চিনি। আমি জানি, গ তে গাধা ফ তে ফুল। ফুল বলতে গোলাপ কৃষ্ণচূড়া বকুল।
বকুল বলেছিলো তার মা বলেছে সে বড় হয়ে গেছে। আমারও সাথে সাথে ইচ্ছে হলো বড় হয়ে যেতে। বকুল গাইতো। আমি বাজারে যেতাম। বাঁশপাতা কুড়িয়ে পলিথিনের ব্যাগে ভরে আনতাম যেন ইলিশ মাছ। ও নেচে নেচে হাঁটতো। আমি রিকসার চাকার রিং দিয়ে গাড়ি চালাতাম মুখে শব্দ করে। রূপকথা উড়ে গিয়ে বসতো বকুলের খোঁপায় মাথার ক্লিপের মতো। তারপর উড়ে উড়ে গ্রীবায়, হেসে হেসে বুকে। একদিন আমি বুঝে ফেলি রূপকথার অভিসন্ধি। আমি আর কিছু দেখতে পাইনি। কে যেন বাঁশের কঞ্চি দিয়ে আমাকে মারতে থাকে আর এসবের ধারলো ব্লেড আমাকে কেটে চলে। মুহুর্তেই ছুঁ মেরে আমি ছিঁড়ে ফেলি রুপকথার ডানা। আমার নরম হাতে লেগে থাকে হলুদ খুনের দাগ।
No comments:
Post a Comment