Sunday, March 31, 2013

আমার দ্বিতীয় জীবন

আমার ঘুম দরকার। র্দীঘ একটা ঘুম দরকার। যে ঘুমে কেটে যাবে দিনের পর দিন।
বহুদিন পর আমি ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখতে চাই নতুন একটা ক্লান্তিহীন জীবন।
যেটা হবে আমার দ্বীতিয় যে জীবনের শুরুটা হবে নিজের মতো। তাতে সময়ের কোন চাপ থাকবেনা।
চিন্তাহীন মুক্ত হয়ে ঘুরে বেরাবো ইচ্ছেমতো। ইচ্ছে হলেই ছুটে যাবো আড্ডায়, সেখানে দিন থেকে রাত নামবে, আমি মুক্ত বাতাসে ইচ্ছেমতো নিঃশ্বাস নিবো। ঘরে ফেরার কোন তারা থাকবেনা।
কেউ অপেক্ষা করবেনা আমার জন্য। কিন্তু আমি অপেক্ষা করবো রাতের জন্য। রাত নামবে আমি নদী তীড়ে শুয়ে থাকবো। আমার কানের পাশ দিয়ে বাতাসে শো শো শব্দ করে ক্রমাগত বেজেই যাবে, আর আমি আকাশে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে তারা গুনবো। এবং একটা সময় আবার ঘুমিয়ে যাবোশেষ রাতে আমার ঘুম ভাঙবে বৃষ্টিতে ভিজে। আমি বৃষ্টির মাঝে ভেজা কাশবনে শুয়ে থাকবো। অনেকক্ষন ধরে আমি বৃষ্টীতে ভিজবো এবং হয়তো একটা সময় ঘরে ফিরবো, হয়তো ফিরবোনা।
কখনো আকাশ বেয়ে চুপ করে
যদি নেমে আসে ভালোবাসা খুব ভোরে
চোখভাঙা ঘুমে তুমি খুজনা আমায়
আসে-পাশে আমি আর নেই,
আমার জন্য আলো জ্বেলোনা কেউ
আমি মানুষের সমূদ্রে গুনেছি ঢেউ
এই ষ্টেশানের চত্বরে হারিয়ে গেছি
শেষ ট্রেনে বাড়ি ফিরবো না..........
আমার দ্বিতিয় জীবনটাকে আমি উপভোগ করতে চাই নিজের মতো। আমার স্বপ্নগুলোর গায়ে আমি পাখা লাগিয়ে দিবো এবং তারা উড়ে উড়ে আমার চারপাশে আমাকে ছোবার চেষ্টা করবে। এবং সে স্বপ্নগুলো মাঝে কোন দুঃস্বপ্ন ভর করতে পারবেনা।
আমার দ্বিতিয় জীবনে আমি তোমাকে মুক্তি করে দিবো। তোমার স্বপ্নগুলো মাঝে আর হায়নার থাবা পড়বে না।
এখন শুধু অপেক্ষার পালা...............
র্দীঘ ১টা ঘুমের। এবং আমার দ্বীতিয় জীবনের.............................................
নতুন জীবন নতুন এ মন আমার
যা শোনে ভালো লাগে,
দু'চোখ আমার যাই দ্যাখে আজ
স্বপ্ন হয়ে থাকে,
কালো রঙ, সাদা চোখ, কালো চোখ
রঙীন যে সবই
আছে সবকিছু এ জীবনে
তুমি আসা বাকি,
পুরোনো কথা ফেলে
পুরোনো ছবি
আজ দু'চোখে
দ্বিতিয় জীবন দেখি........কখনো আকাশ বেয়ে চুপ করে
যদি নেমে আসে ভালোবাসা খুব ভোরে
চোখভাঙা ঘুমে তুমি খুজনা আমায়
আসে-পাশে আমি আর নেই,কখনো আকাশ বেয়ে চুপ করে
যদি নেমে আসে ভালোবাসা খুব ভোরে
চোখভাঙা ঘুমে তুমি খুজনা আমায়
আসে-পাশে আমি আর নেই,কখনো আকাশ বেয়ে চুপ করে যদি নেমে আসে ভালবাসা খুব ভোরে চোখ ভাঙ্গা ঘুমে খুজনা তুই আমায়
আসে পাসে আমি আর নেই
আমার জন্য আলো জ্বেলো না কেউ,
আমি মানুষের সমুদ্রে গুনেছি ঢেউ।
এই ষ্টেশনের চত্বরে হারিয়ে গেছি
শেষ ট্রেনে আর বাড়ি ফিরব না...।।
আমার দ্বিতীয় জীবন টাকে আমি উপভোগ করতে চাই আমার মত করে। আমার সপ্ন গুলোর গায়ে আমি পাখা লাগিয়ে দেবো এবং তারা উড়ে উড়ে আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করবে।
আমার দ্বিতীয় জিবনে আমি তোমাকে মুক্ত করে দেবো, যেখানে পরবে না কন হায়নার থাবা।

এখন শুধু অপেক্ষার পালা...............
র্দীঘ ১টা ঘুমের। এবং আমার দ্বীতিয় জীবনের.............................................
নতুন জীবন নতুন এ মন আমার
যা শোনে ভালো লাগে,
দু'চোখ আমার যাই দ্যাখে আজ
স্বপ্ন হয়ে থাকে,
কালো রঙ, সাদা চোখ, কালো চোখ
রঙীন যে সবই
আছে সবকিছু এ জীবনে
তুমি আসা বাকি,
পুরোনো কথা ফেলে
পুরোনো ছবি
আজ দু'চোখেএখন শুধু অপেক্ষার পালা এক্তি দীর্ঘ ঘুমের..................
দু চোখকে আমার যাই দেখে আজ স্বপ্ন হয়ে থাকে।
আছে সব কিছু এ জীবনে,
শুধু তুমি আসা বাকি।
পুরোনো কথা ফেলে, পুরোনো ছবি,
আজ দুচোখে
দ্বিতীয় জীবন দেখি।

Saturday, March 30, 2013

The World As I See It: An Essay by Einstein


...The most beautiful experience we can have is the mysterious. It is the fundamental emotion that stands at the cradle of true art and true science. Whoever does not know it and can no longer wonder, no longer marvel, is as good as dead, and his eyes are dimmed. It was the experience of mystery -- even if mixed with fear -- that engendered religion. A knowledge of the existence of something we cannot penetrate, our perceptions of the profoundest reason and the most radiant beauty, which only in their most primitive forms are accessible to our minds: it is this knowledge and this emotion that constitute true religiosity. In this sense, and only this sense, I am a deeply religious man... I am satisfied with the mystery of life's eternity and with a knowledge, a sense, of the marvelous structure of existence -- as well as the humble attempt to understand even a tiny portion of the Reason that manifests itself in nature...


 


(The text of Albert Einstein's copyrighted essay, "The World As I See It," was shortened for this blog exhibit. The essay was originally published in "Forum and Century," vol. 84, pp. 193-194, the thirteenth in the Forum series, Living Philosophies. It is also included in Living Philosophies (pp. 3-7) New York: Simon Schuster, 1931. For a more recent source, you can also find a copy of it in A. Einstein, Ideas and Opinions, based on Mein Weltbild, edited by Carl Seelig, New York: Bonzana Books, 1954 (pp. 8-11). )




 

Love is knowing in your heart you will never again be alone...

Few years back some one asked me what is love ?  & why you love me ? Actually I failed to answer her then. I thought why I love her ? I love her that’s why I love her.
But now if some one asked me the same question I guess I can answer or atleast I can try to explain & she wont be desepointed.I think love is when a "Hello" makes your heart jump with happiness when you're with someone and your company makes you feel good and happy, but a simple look that says "I LOVE YOU" no need for words, which is a kiss to feel the touch of her lips on yours, it makes you experience thousands of sensations within you, and feelings that only you can feel it, a hug makes you more attached to it, where it heard the beat of her heart and your breathing so calm tranquility of the moment, you can feel the warmth of your body, your heart, your soul and it makes you feel secure before anything happens in that time and never want to separate yourself from it, is the warmth of a caress you completely comfortable when you invade the sadness, there are so many details that describe each one, not ever end up.
Love is something that can not be explained completely, because each person has his own conception of it, I know it's just something that makes you feel so full, so full that without love the world would be totally gray, as if we lived with black and white images, without that light, without those nuances, without those colors that make your life has joy, peace and tranquility.
Love is something that gave us life to share with those who are part of our life, which were crossed on our walk through life, most of that, the more it grows and grows and never disappear…..

Its my version of love but some says :

Love is a targeted Obsessive Compulsive Disorder with which we have been genetically programmed for the sole purpose of encouraging breeding ensuring the continuation of the species.
Romantic huh?
or.. Love is a wholly owned subsidiary of Hallmark, DeBeers and Interflora corporations..

Whatever they say, I don’t care. I trully believe love is something what inspire you to live 1 more day, what inspire you to move on…I think its pretty much sum up everything . Because without this motivation your life will be dull & montonous..

Sunday, March 17, 2013

অতৃপ্ত ছোঁয়ায়!!





 
                                                                      ভালোবাসা বদলে গেছে ভীষন,
                                                                                  বদলেছি তুমি-আমি,
                                                   
স্বপ্ন বদলেছে, বদলেছে স্বপ্নের নিয়ামক-
                                                   
তবু বেঁচে থাকা দু'জনার হাত ধরে
                                                               
অবিশ্বাসী স্পর্শে!!
                                                                                     অতৃপ্ত ছোঁয়ায়!!

 

Thought of u



                                     do you know that i love you? i probably already told you, but i am going to keep saying it. there is no lies in these words, not one bit. your smiles keep me alive, is one more reason to keep fighting. i would give you my soul for comfort, even if it leaves me dark & cold & when i hold you close, i can feel your heart beat fast and i think to myself.....i've found that "someone
" at last.

Saturday, March 16, 2013

কত দিন দেখিনা তোমায়

কত দিন দেখিনা তোমায় ।
ভেবেছি এই বুঝি এলে ,
সকালের ঝলমলে রোদ হয়ে ।
জানালা খুলে দেখেছি ,
খা খা রোদ , শুধু রোদ্দুর
কোথাও নেই তুমি ।
কত দিন দেখিনা তোমায় ।
দখিনা বাতাসে সবুজে সবুজে নাচন , পাশে কোকিলের সুর ।
ভেবেছি এই বুঝি এলে ।
তাকিয়ে দেখেছি চারিদিক , শুধু শুন্যতা ।
কোথাও নেই তুমি ।
কত দিন দেখিনা তোমায় ।
আকাশে মেঘের আনাগোনা ,গুড়ুম গুড়ুম শব্দ ।
বাদল আসবে বলে ।
তাকিয়ে দেখেছি বাহিরে , বিষ্টি থেমে গেছে।
কোথাও নেই তুমি ।

Sunday, March 3, 2013

হৃদয়ে মৃত্যু আসে যখন ..

আজকাল মৃত্যু এসে ভীড় করে মনে। মনে হয়, অনেক তো হলো।
ভাবি - তবে কি বুড়িয়ে গেলাম?
কুড়িতেই যক্ষা নিয়ে যায় সুকান্তকে। আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বলা রুদ্রকবিও চলে যান অল্প সময়ে।
এইসব মৃত্যুদের মনে হলে অবশ্য সময়টা চলে যাওয়ার জন্যে "অ-কাল" মনে হয় না।

শৈশব এসে ভীড় করে পুরো হৃদয় জুড়ে, স্মৃতিরা একেকটা অদ্ভূতুড়ে প্রাণযুক্ত হয়ে ওঠে - উপহাস করে - আবার কোনটা মায়া জড়িয়ে মাদকের আবেশ রেখে চলে যায়। আমি পড়ে থাকি একা ।
এইখানে।
নিধুয়া এই পাথারে।

সবকিছু ছবি হয়ে আসে।
চৈত্রের খনখনে রোদে আমি দৌড়ুতে গিয়ে উল্টে পড়ে যাই ধুলো হয়ে যাওয়া লাঙল দেয়া জমিটায়, মায়ের লাঠির ভয়ে অনেক কষ্টে থুথু দিয়ে ধুলো মোছার ব্যর্থ চেষ্টা করি।


ক্লাস থ্রিতে আমি কথা বলায় ম্যাডাম আমাকে নিল ডাউন করিয়ে রাখে, পাশে বসা রুপম বলে, ও দাড়িয়ে থাকলে আমিও থাকবো, কারণ আমি ওর সাথে কথা বলতেছিলাম। ম্যাডামের অবাক চেহারা এখনো মনে পড়ে।
সেই স্কুলটা আমি পরের বছর ছেড়ে দিই।
রুপম ডাক্তার হয়ে গেছে বোধহয়। শেষ দেখা হয়েছিলো ও সলিমুল্লাহ তে ভর্তি হওয়ার পর।
রুপম, কই আছিসরে এখন?

ধুর, এইসব কেন যে মনে পড়ে?
বুড়োত্বের খুব বড়সড় সিমটম।

একা ভাবতে বসি, পেরিয়ে যায় সময়। মনে মনে অনেকদূর চলে যাই - ফিরতে পারি না আর, কোথা থেকে শুরু করেছিলাম।
হয়ে যাই ফটিক কিংবা অপু অথবা অনিমেষ। মফুস্বলে আমি এই ধনবাদী নগরের কংক্রিটের বেড়াজালে খুঁজে ফিরি আশ্রয় শূন্যতার কাছে।
ভাবনা ঘিরে ধরে ক্লান্ত-শ্রান্ত আমায় , এই পথের ক্লান্তি থেকে জিরিয়ে নেবার সুযোগও পাই না আজকাল- দেশ-কাল-পাত্র কোন কিছু না ভেবেই যে পথটা এতোদূর এলাম।
দেশ-কাল-পাত্রের অক্ষ অবশ্য ভাবনার পটে গৌণ - সব সমান্তরাল - মাঝেমধ্যে কিছুকিছু এবড়োথেবড়ো বাদ দিলে।

ভাবি, অনেকদূরই তো হাঁটলাম এই স্বল্প সামর্থ্যের দুর্বল আমিত্ব নিয়ে।
ঠিকঠাক বেঁচে থাকলে আর কদিন পর হয়তো বৈশ্যিক দাসত্ব করবার জন্যে নষ্ট কর্পোরেটদের দরজায় দাড়িয়ে পড়বো, একগাদা মিথ্যে প্রতিদিন অবলীলায় বানিয়ে বলে যাবো কলচাবি দেয়া পুতুলের মতো। নিজেকে সর্বোত্তম দাস হওয়ার জন্যে যোগ্যতম হিসেবে হাজির করবো স্যারদের দরবারে দন্তপাটি বিস্তৃত হাসি উপহার দিয়ে।
তারপর সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পা চাটতেই থাকবো প্রভূদের। জানি, সে-ই জীবন অপেক্ষা করে থাকে - এই পথের শেষে।

---------------------------------------------------

এই প্রতিবেশে অস্ত্র নেই, কোন উদভ্রান্তের এলোপাথাড়ি গুলিতে অকালে হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা মিলিয়নে এক এরও কম।
এই শহরে ট্রাম নেই, ভয় নেই জীবনানন্দ হওয়ার। বাতাসে সীসা নেই, পানিতে নেই অতিমাত্রার খনিজবিষ।
এই শহর এবং শাহরিক মানুষগুলো অ-কালে মরে না। তারা দীর্ঘকাল বেঁচে থাকে, অন্যদের সমস্যা করে অথবা না করেই। তারা আমাদের তথাকথিত বুড়োত্বের বয়সে পৌঁছেও নির্জীব হয় না, দিব্যি বেঁচে থাকে - শারীরিক ও মানসিক ভাবে। জগতকর্মে কোন বাধা পড়ে না; প্রেম করে, করে পরকীয়াও।

তবুও এইসব কিছুর মাঝে থেকেও আমার হৃদয়ে মৃত্যু আসে।

শরীরযন্ত্রের যে মৃত্যু , তা আমাকে কোন ভীতিবোধে আচ্ছন্ন করে না । ঈশ্বরে আমার অবিশ্বাস নেই - কিন্তু ব্যাপারটা অনেকটা - ঝাল খাবারে আমার অরুচি নেই - ধরনের বিষয়ের মতো সহজ। প্রার্থনা অথবা ঈশ্বর-উপাসনা - মাঝেমধ্যে সামান্য করি না - তাও নয়। খুব খারাপভাবে বললে - কিঞ্চিত ভণ্ড - বিশ্বাসে।

তাই শরীরযন্ত্রের মৃত্যু নামক পৃথিবীর জটিল অনন্য ব্যাপার-স্যাপারটি আমাকে সামান্যতম শুদ্ধ বা ভীত হতে শেখায় না।
"আছি" বা "থাকি" ব্যাপারগুলো তৃতীয় পক্ষের চোখে "ছিলো" বা "থাকতো" হয়ে যাওয়াটা আর এমন কী?
চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়াশুনা করছে এরকম কাছাকাছি একজন প্রথম কোন ডেথ সার্টিফিকেট লিখে বেশ উত্তেজনা প্রকাশ করেছিল আমার কাছে, আমি অবাক হয়েছিলাম। সময়ের প্রবাহে নাকি খুব একটা কিছু বোধ হয় না।

তবে মন নামক আপাত-আপেক্ষিক বস্তুটির নিঃশেষ হয়ে যাওয়া আমাকে ভীত করে তোলে।
বুড়োত্বের ভয় আমার সেইখানেই।
অজরামর কোন প্রাণের প্রত্যাশা আমি করি না। জরাকে আমি জীবনের সঙ্গী বলেই বোধ করি।
মৃত্যু আমার কাছে রোমান্টিক কোন ধারণা নয়, হয়তো নতুন কোন পথ খুলে আছে শ্যামসম মরণ এর ওপারে।
তবুও অপ্রিয় সে।
বড্ড অপ্রিয়। দাসের হেঁটে চলা জীবনেও সে অনাকাঙ্খিত।

পোড়া সময়ের অক্ষরমালা



ছোটবেলায় গোল ডায়াল ঘুরিয়ে করতাম যে ফোন, তা এখন হয়ে গেছে ব্যক্তি পরিচয়ের অংশ। না থাকলেই নয় একটা নম্বর - কারো আবার দুটো, তিনটে। দেশে ফেলে আসা বন্ধুদের একেকজনের নম্বরের কালেকশন।
সেই যে ইয়াহু দিয়ে শুরু করেছিলাম প্রথম একটা মেইল অ্যাড্রেস খোলা, তা এসে স্থায়ীভাবে ঠেকেছে গুগল মেইলে মানে জিমেইলে - আছে নিজস্ব ডোমেইনও একটা।

বাংলায় দুটো লাইন লিখে কোন এক পুরনো শুভাকাঙ্খীকে পড়তে বলে কয়েকবার ঝাড়ি খেতে হয়েছিল এনকোডিং আর ডিকোডিং সমস্যা নিয়ে।
আর এখন অভ্যস্ত আঙুলে ভালবাসা বুনে চলি বাংলা অক্ষরে।

ডিজিটাল হয়ে গেছে ভালবাসা, বন্ধুত্ব, আর আমাদের মনন।
মুখোশ পড়ে দিন-তারিখ ধরেবেঁধে এখন আমরা বন্ধুস্মরণ দিবসে বলে উঠি, বন্ধু, কেমন আছিস , কিংবা বাবাদিবসে, আয়্যাম মিসিং য়্যু, ড্যাড!
আমরা বদলে গেছি আমাদের পৃথিবীসহ। বেনিয়া আর কর্পোরেট, টেলি কম্যুনিকেশন সার্ভিস প্রোভাইডারদের তৈরি করা চাকুরির বাজারে আমরা আমাদের স্মার্টনেসের বিনিময়ে ক্যারিয়ার কিনি। কিনি ভবিষ্যত। বিকিয়ে দেই ঘাসফুল আর নদীর জন্যে আমাদের ভালবাসা।


কিন্তু, আমি অবশেষে বদলেছি কি? কৈশোরের আমি বঙ্কিম বা রবীন্দ্রনাথ নিয়ে খাটের নীচে, লুকিয়ে ফেলা নিজেকে অপ্রিয় সব বাস্তব কষ্ট থেকে। খরগোশের মতোন।

আজ, বয়েস যখন  তিন যুগ পেরিয়ে গেছে? এই অসময়ে, যখন লুকোতে পারিনা।


কৈশোরের দিনলিপির পাতায় যে নিঃসঙ্গ আত্মকথন, প্লাজমা, এলসিডি অথবা সিআরটি টিউবের স্ক্রীনে দেখানো যুক্ত ও অযুক্ত অক্ষরমালার এই জায়গাটুকুতেও পাল্টায়নি লেখার সে ধরন। অন্ধকার পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসা হয় নি আমার।
আমি অচল ও সেকেলে মানুষ অচলই থেকে গেছি।

কৈশোরে বুনে রাখা আত্মধ্বংসের বীজ ডানা মেলে হয়ে গেছে বটগাছ-সম। সময় বদলেছে, বদলে গেছে সবকিছু।
কিন্তু এখনো একেকটা দিন মানে কষ্টের খাতায় আরেকটা পাতা। জীবন মানে, পুড়ে যাওয়া মন আর কষ্ট চাপা দিয়ে দাঁত বের করে সব কিছু এনজয় করছি ভাব এনে বুদ্ধিদীপ্ত হাসি মুখে ধরে রাখা। জীবনের মানে, অচল মানুষের চামড়ার উপরে নেকটাই-স্যুটের মুখোশ জড়িয়ে নিজেকে পণ্য হিসেবে তুলে ধরা কর্পোরেট চাকুরির বাজারে।

জীবন মানে সংসারী মানুষ হওয়ার বাসনা নিয়ে নানান সমঝোতা করে চলা প্রতি মুহূর্ত, সারাজীবন সমাজবদলের গান গেয়ে সবশেষে বেনিয়া কোম্পানিতে কেরানি হওয়া, ঘরের ঝড় কোনওভাবে চাপা দিয়ে লোকের চোখে সুখী দম্পতির অভিনয় করে যাওয়া। অথবা পালিশ করা ব্লেজার বা স্যুট গায়ে পরবাসে বেড়াতে আসা নোবেল ইউনুসের সাথে ছবি তোলার জন্যে হুড়োহুড়ি?

জীবনের মানে কি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে রুটি, কলা, কর্ন ফ্লেক, বাচ্চার দুধ, ফার্মেসি থেকে নিরাপত্তা - কিনে বাড়ি ফেরা অথবা বিষ্যুতবারের রাতে বন্ধুদের সাথে কয়েক পেগ গিলে বাড়িতে ফিরে বউয়ের বকুনি। এই তাহলে জীবন?

সবচেয়ে কাছের বন্ধুটি, যে কিনা সাতপাঁচ না ভেবে জীবনের বড্ড অসময়ে গত সপ্তায় নিজের ভালবাসার মানুষটির সাথে অনানুষ্ঠানিক সাতপাঁকের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে, তাকে আমি অভিনন্দনের মেইলে লিখি "আমি কোন স্বপ্ন দেখি না এখন আর। "
আত্মজনের কষ্ট, নিজের পোড়া পৃথিবী আর অস্মার্ট নিজেকে নিয়ে সভ্যভব্য সমাজে স্যুট-টাই পরে সভ্য প্রমাণ করে যাওয়ার যে অসফল চেষ্টা, সেইখানে অসময়ে পুড়ে যাওয়া মনকে চাপা দেয়া হয় না আমার।

আত্মধ্বংসের বটগাছটা ডাকতে থাকে মুক্তির প্রলোভন দেখিয়ে।
প্রতিনিয়তই।
উপেক্ষা করতে পারবো না বোধহয় সে ডাক।


--
অন্ধকার ভরা হলেও এই পোস্টটি সেই বন্ধু ও তাঁর বালিকাকে উৎসর্গ।
কষ্টকর অনেকটা পথ বাকি এখনো তোদের দুজনের - জানি।
তোদের জীবন সুন্দর হোক রে, মেঘলা ও জনি।
ছবি কৃতজ্ঞতা : ফ্লিকার
লিংক

পৌনঃপুনিক মৃত্যু



আমার বর্তমান পৌনঃপুনিক। ঘুরেফিরে একই বৃত্ত। রাত শেষে আবার একই রকম আরেকটা দিন।
আমার অনুভূতিরা মৃত, তাদেরকে ঘিরে পোড়া মূর্তিরা খেলা করে। তাধিন তাধিন ধিন।
উদ্দাম নৃত্য। দুহাত তুলে, বৃত্ত রচনা করে।

বেসুরো আঁশটে গন্ধ আমার চারপাশে, পোড়া শব অথবা মনপ্রসূত অবাস্তবতা। পাথরের ঘষঘষে শব্দ।
হৃদয়কে আহত করা কিছু সুর। নস্টালজিক এবং মেলানকোলিক। খুঁজতে থাকি।
পাই না, পাই না সেই গানটা। বিপুল তরঙ্গ রে.. রবি বুড়োটার গান।

আমি হারিয়ে যাই। আমার ঈশ্বর খুঁজে ফিরি।
বৃত্তটায় গা এলিয়ে দেই ব্যাখ্যাহীন নির্ভরতায়।

অপলাপ এবং মৃত ঈশ্বর


মাথাব্যথা কয়েকদিন ধরে। মাথাটিপে ধরে সস্তার দোকানে প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেনা পেইন-কিলার গিলে দিন পার করি। ডাক্তারে অরুচি। নিজের জন্যে এতো ভাবতে ইচ্ছে করে না। নরক বলে যদি কিছু থাকে, তবে সেখানে যেতে রাজি আছি, এই মুহূর্তে। জীবনে কোথাও কোন অতৃপ্তি নেই, কিংবা কোন অনুশোচনাও। বেঁচে আছি, তাই নানান লৌকিকতা এখনো করে যাচ্ছি।

-
কাল থেকে বৃষ্টি। গরম নেমে গেছে এক লাফে। কুলার দরকার হয় না। তবে, সাইকেলে চড়ে ছাতা নিয়ে বৃষ্টি মাথায় বেরুনো বেশ ঝামেলার। আইন বলে, ব্যাপারটা নিষিদ্ধ। মানে, সাইকেলে চড়লে ছাতা মাথায় দেওয়া যাবে না, ছাতা মাথায় দিলে সাইকেল থেকে নেমে হেঁটে যেতে হবে। তবে, পুলিশে কিছু বলে না।
পুলিশে ধরে, সাইকেলে লাইট না থাকলে। আমার সাইকেলের লাইট ভেঙে গেছে, এক মাস হলো। আমার সাইকেলের সাথে গায়ে গা লাগানো নিজের সাইকেল বের করতে গিয়ে একজন সুবোধ মানুষ আমারটা ফেলে দিয়ে লাইট ভেঙে ফেলেছে। আমার সামনেই ঘটেছে। কিছু বলতে ইচ্ছে করে নি। মুচকি হেসে নিজের সাইকেলটা ঠিক করে রেখে, ভাঙা লাইটটা পকেটে ঢুকিয়ে ফিরে এসেছি।

সাইকেল নিয়ে ইদানিং বেশ ঝামেলায়ও আছি। ব্রেক কাজ করে না। গত পরশু গাড়ির সামনে আরেকটু হলে পিষে পড়ার উপক্রম হয়েছিলো। কীভাবে যেনো বেঁচে গেছি। গাড়িটা আস্তে চলছিলো, তাই ব্রেক করে আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। আইন বলবে, আমারই দোষ।


-
একটা বই পড়ছি, The Kite Runner। অনেকদিন পরে কিছু একটা মনোযোগ দিয়ে পড়ছি। চেষ্টা করছি। নষ্ট হয়ে যাওয়া বই পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা। অরুপ ভাইর পছন্দের বই। মাঝেমাঝে পড়ছি।

আফগান বংশোদ্ভূত লেখক
খালেদ হোসাইনি র হাতে, আফগান সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঝরঝরে ভাষায় গল্পের নির্মাণ। খালেদ এর বয়েস যখন আট, রাজা জহির শাহের পতন হয়। তার ডিপ্লোম্যাট বাবা পালিয়ে যান প্যারিসে, যখন খালেদ এগারোতে। পরে ইউএসএ তে, বাবার রাজনৈতিক আশ্রয়ের সূত্রে। সেখানেই কাটিয়ে দেন বাকি জীবন। যে জন্যে এই কথা বলছিলাম, বই এর যতটুকু পড়েছি, ততটুকু পড়ে কখনো মনে হয় নি ভদ্রলোক আফগানিস্তানে তার শৈশবের খুব অল্প সময় ছাড়া থাকার সুযোগ পান নি।

পুরো বই পড়া হলে লেখা হবে হয়তো বাকিটা।

-
বন্ধুহীন হয়ে পড়েছি। সময়েই সব বদলে যায়। সব মঞ্চ ভাঙে, পড়ে থাকে শুধু স্মৃতি। সব আড্ডার পাত্র-পাত্রীরা বদলে যায়, থাকে শুধু আড্ডার জায়গা। নতুনেরা আসে। ভাঙার জন্যে দরকার হয় একটা টুকরো ঘটনা অথবা উপলক্ষ্য। রাজশাহীতে নিউমার্কেটের ছাদে একসময় বসতাম। এখনো দুই বছরে একবার দেশে গেলে দেখি, নতুনেরা আড্ডা দিচ্ছে। পরিচিত কাউকে আর চোখে পড়ে না।

দেশ ছেড়েও সেলফোনের কল্যাণে কাছের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ ছিলো। সময়ে-অসময়ে ফোন করেছি একটা সময়। এখন সেই যোগাযোগ শূন্যের কাছাকাছি। প্রযুক্তির প্যাকেজে ড়্যাপ করে ফেলা বন্ধুত্ব এখন এক চিমটি এসএমএস, তিন ফোটা ফেসবুক, সামান্য ইন্সট্যান্ট মেসেজিং। ফেসবুকে কারও ছবি দেখে গতানুগতিক কপি-পেস্ট, "তোকে যা লাগছে নাহ"।

খুব কাছাকাছি সবাই মোটামুটি নিজেদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত। চাকুরি,ক্যারিয়ার, কর্পোরেট জীবনে উপরে ওঠা, নিজের পার্টনার - আইনসিদ্ধ অথবা অসিদ্ধ, বিয়ে, ভাঙা-গড়া, কারও বাচ্চা-কাচ্চা এবং অন্যকিছু। তাই আর বিরক্ত করি না কাউকে। কার জন্যে কে সময় দেয়? কে এখন বন্ধু? বন্ধুত্ব এখন দিবস করে আসে। বাকি সব দিন সব্বাই একা। আদতে।
এইরকম করে মঞ্চ ভেঙে যায়। আমরা যেনো কয়েকদিনের জন্যে স্টেজ শো করতে আসা যাত্রার দলের ওয়ানটাইম অভিনয়ের পার্শ্বচরিত্র। পরের স্টেজ শো তে আর আমাদের দরকার নেই।
এইসবই এখন স্বাভাবিক, অথবা বাস্তব নিয়ম।

-
এইসব কেন লিখি? লোকের পড়ার জন্যে? নিজের অনুভূত কষ্টে লোকের সহানুভূতি চাইছি? মাঝেমাঝে নিজের ভন্ডামিকে নিজেই প্রশ্ন করে বসি। তবে, আজ স্বীকার করে যাই, হ্যা, আমি আসলে খুব ভন্ড। কোনটা যে আমি, আর কোনটা যে আমার অস্তিত্ব, আমি জানি না। এইসব কথা কাউকে কখনো বলা হয় না, তাই লিখে রাখি।

ভরা হাটের মাঝে কারও মেকি হাসিমুখ তার বর্তমান নয়, ভার্চুয়াল ব্লগে লেখা কারও সাজানো-গোছানো গল্পও পুরোপুরি সে নয়। পেসিমিস্টদের ঈশ্বর থাকে না, তাদের গল্পও এভাবে লেখা যায় না। পেসিমিস্টদের মন থেকে ঈশ্বর একটা সময় পরে আপনা আপনি মরে যায়।
সত্যি কথা বললে রূঢ় শোনায়, তবুও বলি, এইসব আগাছা হতাশাবাদী যতো তাড়াতাড়ি বিদায় নেয় এই বাস্তব ও আনন্দময় পৃথিবী ছেড়ে, ততোই জগতের মঙ্গল। পুরো জগত তাই মনে করে। যার সৌন্দর্য উপভোগের ক্ষমতা নেই, সৌন্দর্য প্রদর্শনী ছেড়ে চলে যাওয়াই সমীচীন। আমি জানি, আপনিও তাই ভাবেন। নয় কি?



--
[কমেন্ট অপ্রার্থনীয়, সেজন্যে ক্ষমা চাইছি।
ছবি কৃতজ্ঞতা, ডেনিস কোলেট, কপিরাইট - সিসিএল ]

লিখতে পারি না

একটা সময় ছিলো, অনেক গল্প ছিলো বলার। নিজের ঘরের চাবি হারিয়ে ফেলে ঘরে ঢুকতে না পারার গল্প অথবা মন খারাপ করা কোন এক বিষন্ন সন্ধেতে শহরের কাছে পোষ-মানা ওই নদীটার কাছে গিয়ে বসে থাকবার গল্প কিংবা ছবি। সবই। এখন আর ইচ্ছে করে না সেইসব । মৃত্যু হয়েছে অনেক আগে সেই তরুণের।

কিন্তু, এখনো পড়ে আছে সে সেই নদীর তীরে, যেখানে নৌকো নেই, ভাসছে না কোন ভেলা। ওপারটা বড্ড দূরে। দেখা যায় না। যেনো বসে আছে, কেউ আসবে। অথবা, কারও অপেক্ষাতেও নেই। আসলে তাড়া নেই সম্ভবত। কোথাও যাবার নেই। সন্ধ্যেবেলা ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির মাঝে ভেজা শীতল ঘাসে পা দুটো মেলে দিয়ে বসে থাকে সে। দূরে, তৈরি হচ্ছে এরকম উঁচু ভবনগুলোর উপরে একগাদা ক্রেন। যেন জীবন্ত, একটা আরেকটার সাথে কাটাকুটি খেলছে।

আসলে কোন গল্প নেই। শরীর খারাপ কোন গল্প হতে পারে না। শুয়ে থেকে ছাদের দিকে চেয়ে থাকা কোন গল্প হতে পারে না। অলস বসে থেকে যান্ত্রিক ও লোকদেখানো ফেইসবুকে নাটকের সাজানো চরিত্রগুলোর স্ট্যাটাস মেসেজের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা নিয়ে কোন গল্প লেখা যায় না।

আমাকে নিয়ে আমি কোন গল্প লিখতে পারি না।

হ্যা, হয়তো গল্পে আসতে পারে, আমি ছয় বছরের লম্বা ছাত্রত্ব শেষে এবার বিশ্ববিদ্যালয় নামক প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিদায় নিচ্ছি। সহজ করে বললে, পড়াশোনায় ইস্তফা দিয়ে কর্পোরেট দাস হওয়ার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু, এসব দৈনন্দিন ঘটনা নিয়ে লেখা গল্পে আমি ছাড়া আর কোন চরিত্র আসবে না। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনায় আপাতত ফুলস্টপ দেয়া ও বৈশ্যিক কর্পোরেট বাজারের দাস হওয়া নিয়ে আমার মানসিক অনুভূতির কোন বিবরণও আসবে না।

অনুভূতিহীন এইসব দিনেও আমি তীব্রভাবে বিষাদময়তায় আক্রান্ত হই, দম বন্ধ হয়ে ওঠে। কানে গান লাগিয়ে, অনেক পুরনো কোন ফিকশন বইয়ে নিজের চেহারা আড়াল করে, ফাঁকা ট্রেনের দরজার পাশে দাঁড়িয়ে বাইরে অন্ধকার দেখি। স্মৃতির আয়নায় উপহাস করে আমার গত কাল । একান্তই নিজের গল্প। যে গল্প আমি আর লিখতে পারি না।

আমাকে পোড়ায় না রাষ্ট্রের সমরবাহিনীর যুদ্ধ অথবা বিদ্রোহ কিংবা নাশকতা, দেশ অথবা সময়ের পতন আমার কানে এসে থেমে যায়, মস্তিষ্কে কোন অনুভূতির তৈরি করে না। কান আমি বন্ধ করে রাখি, চোখে পড়ে থাকি ঠুলি। আগুন লেগেছে, বড়োজোর নিজের স্বজন আগুনের চারপাশে থাকার সম্ভাবনা না থাকলে আগ্রহ হারাই সে খবরে। কী দরকার যেচে পড়ে হাইপারটেনশন তৈরি করার? প্রতি মুহূর্তে স্বার্থপর অমানুষ হয়ে উঠি। প্রতি ক্ষণে ভালো মানুষ না হতে পারার ব্যর্থতা আমাকে বিদ্ধ করে। আমি অন্ধকার হেঁটে গিয়ে অন্ধ হয়ে উঠি, কূপমন্ডুক হওয়ার পথে আরেকটু এগিয়ে যাই।

কিন্তু এতকিছুর মাঝে, কিছু না লিখতে পারার কষ্টটাই বড্ড তীব্র হয়ে ওঠে।

প্রেমিকার চুড়ির শব্দ শুনতে পাই



প্রেমিকার কথা মনে পড়ে। তখন আমি একটা সময়ের ভেতর দিয়ে অথবা একটা সময় আমার ভেতর দিয়ে চলে যায়। এই সময়ের মধ্যে আমি শুধু দুইটা চোখ পর্যন্ত মনে করতে পারি। আমি ভুলে গেছি তার নাক কেমন ছিলো। আমি ভুলে গেছি তার পা কেমন ছিলো। আমার একটা দৃশ্যের কথা মনে পড়ছে। এরপর পর পর আরো কিছু দৃশ্য মনে পড়ে। সে চলে যাবে। কোন কিছুতেই তাকে আর ফেরানো যাবে না। তার দেহ চলে গেছে কাল। সে চলে যাবে আজ বলে বিদায় নিতে এসেছিলো। এসে চুমু খায় পায়ে। আমার পা ফেঁটে ফিনকী দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। রোদ উড়ে যায়, বিকাল উড়ে যায়, সমস্ত সময়,সেদিন, তারপরদিন, মাস, বছর, এক এক করে ঐদিনের সব কিছু উড়ে যেতে থাকে। কেবল আমি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখানে একটা কদম ফুলের গাছ বড় হয়েছে। লাল রঙের কদম ফুল। আমি বেড়াতে বের হই। আমি বেড়াতে যাই দুলহাজারা সাফারি পার্ক, ২০০২, ২০০৩ আর বালিকা মাদ্রাসার ঐদিকে। ঐই সময়ের অনেকগুলো বিকেল ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসতে থাকে মহাকাল থেকে। আমি শ্রাবণের দিগন্ত হয়ে মিশে যাই প্রেমিকার চুলে, ভ্রুযুগলে। আমি মনকে কিছুতেই থামাতে পারিনা। আমি মনকে ভয় দেখাতে চাই। আমি বিষের বোতল দেখিয়েও তাকে ভীত করতে পারিনা। আমি একটা ধারালো ব্লেড দিয়ে ফালি ফালি করে মনটাকে কেটে ফেলি। প্রেমিকার চলে যাওয়ার দৃশ্যটিও আমার আর মনে থাকে না।

যে মাঘে খুন হয় রূপকথা

ফুলের বুকে যে মধু থাকে এমন বিষ্ময়কর গল্প আমি প্রথম শুনেছিলাম একটা প্রজাপতির কাছে। ছেলেবেলায় আমার একটা চিত্রল প্রজাপতি ছিলো আর ছিলো ঘাসফড়িঙের দিন। সে একদিন আমাকে তার অনেকগুলো প্রাচীন গল্পের মধ্য থেকে একটা শুনিয়েছিলো। একদিন শনিবার দুপুরে রূপকথার পুকুরে আমি আর তার জলরাঙা গল্প। কোত্থকে যে সব মধু আসে, কার বুকে যে যায়, আমি সবকিছু শুনেছি বিষ্ময়ে। তার ডানা ছিলো হলুদ সারা বিকেল। রঙ আর ভাঙচুর ছেলেবেলা। এমন অদ্ভুত সুন্দর ডানা নিয়ে সে যে উড়ে বেড়াতো, ঘুরে বেড়াতো, রোদের গালে চুমু খেতো, ফুলের বুকের মধু খেতো এতো সুন্দর করে!
সে আমার নাম ধরে ডাকতো। বলতো, মানব। তার ডানায় একটা মোটা শাদা দাগ ছিলো। হঠাৎ হঠাৎ সেটা কেঁদে উঠতো নদীর মতো। আমার মনে হতো প্রজাপতিটার ডানার আলাদা জীবন আছে। যে প্রজাপতির ডানার আলাদা জীবন থাকে তাকে কি বলে আমি জানতাম না । বকুল আমাকে বলেছিল তাকে বলে রুপকথা। তারপর থেকে প্রজাপতিটাকে আমি রুপকথা বলে ডেকেছি। বকুলও ডাকতো। বকুল ছিলো আমার খেলার সাথী। আমাদের বাড়ির পেছনে যে বাঁশঝাড় তার পেছনে যে স্বর্ণচাপার বাগান সেখানে আমরা সংসার সংসার খেলতাম। বকুল বলেতো আমি তার বর। আমিও বেশ কয়েকবার কিছু না বুঝেই মনে মনে বলেছি ‘বর’। আমি জানতাম না বর মানে কি? সে বলেছিলো ‘বর হলো গাধা। আর গাধা হলে তুমি’। গাধা আমি চিনি। আমি জানি, গ তে গাধা ফ তে ফুল। ফুল বলতে গোলাপ কৃষ্ণচূড়া বকুল।
বকুল বলেছিলো তার মা বলেছে সে বড় হয়ে গেছে। আমারও সাথে সাথে ইচ্ছে হলো বড় হয়ে যেতে। বকুল গাইতো। আমি বাজারে যেতাম। বাঁশপাতা কুড়িয়ে পলিথিনের ব্যাগে ভরে আনতাম যেন ইলিশ মাছ। ও নেচে নেচে হাঁটতো। আমি রিকসার চাকার রিং দিয়ে গাড়ি চালাতাম মুখে শব্দ করে। রূপকথা উড়ে গিয়ে বসতো বকুলের খোঁপায় মাথার ক্লিপের মতো। তারপর উড়ে উড়ে গ্রীবায়, হেসে হেসে বুকে। একদিন আমি বুঝে ফেলি রূপকথার অভিসন্ধি। আমি আর কিছু দেখতে পাইনি। কে যেন বাঁশের কঞ্চি দিয়ে আমাকে মারতে থাকে আর এসবের ধারলো ব্লেড আমাকে কেটে চলে। মুহুর্তেই ছুঁ মেরে আমি ছিঁড়ে ফেলি রুপকথার ডানা। আমার নরম হাতে লেগে থাকে হলুদ খুনের দাগ।

ঈশ্বরী




তোমার ছায়া, মূর্তি, অবয়ব সম্পর্কে কিছুই জানিনা
তবে আমার কল্পনায় তোমাকে একটি লতার মতো দেখি
যার শুধু সতেজতা ছাড়া আর কোন অবলম্বন নেই
এ সতেজতা চিরন্তন
ঈশ্বর না চাইলেও তুমি সতেজ......

ছাঁয়া কন্যার শান্তির ছাঁয়া


আমি যখন মারা গেলাম তখন সন্ধ্যা ৭টার কিছু বেশি । আকাশটা ধুসর নীল । বিকাল থেকে বুক ব্যাথা করতেছিলো । হঠাৎ করে চলে গেলাম দূনিয়া থেকে ।
আমার আত্মাটা এখনো ঘরের ভেতর আছে । প্রিয়জনরা কাঁদছে দেখলাম । সারা বিশ্ব জেনে গিছে । চারদিক খবর পাঠানো হয়েছে । গ্রামের বাড়ী মানুষ পাঠানো হয়েছে পারিবারিক কবরাস্থানে সাড়ে ৩ হাত মাটি খোড়ার জন্য ।পারিবারিক মানুষ আসা শুরু করেছে বাসায় । আমার লাশকে একটু পর গোছল করাবে শুনলাম । মসজীদ থেকে খাটিয়া আনছে । হুজুর আসছে ।

রাত ১২টা কয়েক মিনিট । কে যেনো বললো ফজরের নামাজের পর কবর দেওয়া হবে । এর মধ্যে পরিবারের মানুষ এসে যেন শেষবারের মত আমার মুখটা দেখতে পায় ।
আমার শরীরকে গোছল দেওয়া হলো । সাদা কাপড় পড়ানো হয়েছে । ধুপের গন্ধ বের হচ্ছে । গোলাপ জল ছিটালো কে যেনো ।
এতজন ছেড়ে আমাকে চলে যেতে হবে । খারাপ লাগছে । খুবই খারাপ । কান্না আসার মত খারাপ । আমার এক বন্ধু রেগে গেলে কান গরম হয়ে যায় । আরেকটু ফর্সা হলে হয়ত লাল হয়ে যেতো । দরকার নাই ফর্সা হওয়ার । যেমন আছে তেমনই ভালো । আযান দিছে ফজরের শুনলাম । কি মধুর কন্ঠ ।
আমকে আরেকটু পর খাটিয়াতে উঠাবে । আমি মাটির নিচে থাকবো কি করে ? আমার তো দম বন্ধ হয়ে যাবে । সাপ আসবে । উফফ , চিন্তা করতে চাচ্ছি না ।
. . . আমাকে কবর দিয়ে সবাই চলে গিয়েছে । আমার পেট ব্যাথা করছে । ভয় পেলে পেট ব্যাথা করে ।
. . . কয়েকদিন পরের কথা . . . আকাশে চাঁদনী রাত । ঐ গাছটার পাতার ফাক দিয়ে আলো পড়েছে আমার কবরের উপর । হঠাৎ একটা ছায়া পড়লো কবরের উপর । ছায়া কন্যার ছায়া । আমি জানতাম সে আসবে ।

আমি এভাবেই ঘুমিয়ে থাকবো । ছায়াকন্যার শান্তির ছায়ায় চিরকাল . . .

How far I am from home!

 
 
                                                                Feeling homesick

Opekha- dushor thake Rongin

somoy ase...
abr chole jai...
jibontake vashie dao
chole jaoa somoy er sathe
akbar dekha hoychilo...prothom bar...kano je khub brishti hochchilo sai din....elephant road er BATA BAZAR er niche daria....ghori chute cholse....dekha nai....mone hoy ashbe nah.....aktu aktu mon karap hochche....ki shai manushik obostha bojanor moto nah.....kisu harao kisu na paowa.....santona nai...tokhon cell phone chilo nah...hotath dekhi ami aka bristi er niche....sob lok ashe pasher dokan e shelter niache.....nijeke dekhchilam onek upor thake.....akta chele sudhu kano baire?...hahaha...pagol.....pash dia joto rickshaw jachilo mone hochchilo...akhoni ashbe....chole jabo bole jai gure dariachi....ke dakche???...akta porichito dak....rickshaw er porda er upor akta prio mukh...khub apon...khub ochena...jani nah...bollam ami onno rickshaw te asi?....bollo 'nah utho atate'....'tumi vije jabe'....ashole ami hesitate korchilam.....ki holo ke jane...hood phale diay haat ta dorlo...'uthay esho'....dui jon....jir jir bristi...chotto rickshaw te distance maintain kore cholsi...mone hochchilo rickshaw te ar aktu boro hole valo hoto....somoy ta ke thamiay dia kotha hoto khub e kom...bolto o bashi..ami suntam....bolte chaitam...boltam o mone mone...mukh phute bola hoto nah...boka ra amoni hoy......dhanmondi er rashta....Pizza Hut er coffee...haat e aktu ses hoye jaoya cigarette....bikal er halka alo...intensity bashi....photographer-der khubi prio akta somoy...bristi er por surjer alo....somoy thame thakeni tokhonooo.....

Valobashaer Rong



purono shohor-er prio chena goli te roddur megher kalo chador e dhaka... klanto poth e tomar podochinho....kisu ta dikvranto...mukh acche mukhos er arale jamon tomar shohor protidin bodlay...notun rupe nijeke aral kore...mone pore nah tomar, kobe shohor take apon kore dekhacho...ses kobe kal-boishakhi tomake voy paia chilo... kuashaer chador sore kobe tomar shohor-er uki daya rajpoth e tri-chokrojan e ghure bareacho...dekhcho apon manushgulo kibhabe aktu aktu por hoy jamo dhure chole jachche tomar chena poth ta....hmm bodle jacchi tumi-ami- sobai....kintu akhono rod ase nisshobde...raat name nirode...Jhor o utha na jani-e...drishti name kisuta lonajol nia...akash kade tomar shohor ke valobashe...jha-jhalo dupur-e uttopto concrete-er shohor ke ki parbe valobashe shikto korte... Jhor uthbe tomar charpashe....tumi paro lokote kono kacher er dewal ghor e...shudhu jhor dekhbe..er ses o dekhbe..kintu tomake chobe nah...abar sharthopor er moto na lukia asho jhor ta dekhte....onuvob koro valobashaer rong ke.........dekho pagol haowa proly nitto korche........rong er por rong khuje jache.....kotha-e shai rong???..........klanto sorir e jhor-ke aksomoy thamte hoy............akash bole akhon dekho shai rong................tomar shikto rajpoth e alo e khela.................bristi-er jome thaka pani te nil akash er dekha...........gacher pata biborno noy akhon.........rajpothe jantrik jan-er nishpashon nai.....................kau nai????............nah oiiii dure kau tomar moto jhor dekhse valobasha-er rong dekhte............aktu aktu kore jao...hmmm akhon pothta chena lagche........ohma tumi to hashcho......accha hashi-er ki rong???...tumi janbe nah....janbe jokhon onner mukhe tomar ai hashi dekhbe....

চলো আজ তোমাকে ছুয়েঁ দেখি




                                                      (ছবিটি সত্যজিত রায়ের একটি চলচ্চিত্র থেকে নেয়া )




বিবস্ত্র অনুভূতি আজ
শহুরে কারাগারে
নি‍র্জীব।
বিবর্ণ কালক্ষেপনের আহ্বান আজ
মুক্তির পরাজয়।
প্রকাশিত আবেগ ভীত চঞ্চল
হায়ানার অট্টহাসিতে।
ভাবুক মন আজ পেষিত
কালসাপের করাল গ্রাসে।
দু 'ঠোঁটের মাঝে রুদ্ধ কথন
চুম্বন আঁকে শূন্যের বুকে...
নিরবে, নিভৃতে।
খোলা চোখে অপলক দৃষ্টি
আটকে যায় বদ্ধ দুয়ারে।
তবুও...
একটু যেন বাঁচতে চাওয়া
শূন্য হাতে আকাশ ছোঁয়া।
হৃদয়ের ছোট্ট পথে
হাত বাড়ালো বন্ধু্ পেতে...


(উৎসর্গঃ আমার এক প্রিয় বন্ধুকে)

Bakulota ব্যাকুলতা



Opekha e achi binidro অপেক্ষায় আছি বিনিদ্র্র
tomaro tire songopone তোমারো তিরে সঙ্গোপনে
verao tori amaro pane ভেরাও তরী আমারও পানে
sojolo dhara ashuk aji সজলও ধারা আসুক আজি
tomar akhi pollobe তোমারও আঁখি পল্লবে

hobo nahi pothohara হবো নাহি পথোহারা
prokashito tomaro ontore প্রকাশিত তমারো অন্তরে
bhabona choncholo je ভাবনা চঞ্চলও যে
jhoro pobon-ero meghomala ঝড়ো পবনেরও মেঘমালা
sunno buke bina baje শুন্য বুকে বিনা বাজে
oishorik ahobaner proloy....ঐশ্বরিক আহ্ববানের প্রলয়ে...

TiP, tomar Kopale


kopalta onek boro.... majhe du'chokher vru er kache akta bishal tip.... tip ta lal.....meyeta ke maniyeche kina sheta ami bolbo nah.. pathokder upor rakhlam beparta....boro tip bemanan lage sadharon bhabe...sobaike thik manae nah....kintu meyetar sahosh ache. aj vor thake she chutochuti korche...onek bashi...kono kisui ready nai tar....aidike ghori onek taratari ghurche....kisui hocche nah...chele ta ato pocha, raat 1 ta te phone kore bole sokale o Dhaka Airport e thakbe..10 tar agei.. .. kon sharee porbe? konta match korbe?...ki type er ornaments porbe?...offhh moha paji o..keno age bolle ki hoto..sokale driver ke bola hoinai...kokhon ashe driver?..kibhabe jabe? ..koto tension...kintu tar che bashi excited..."ma...maa.....sharee er kuchita thik kore daoto"....ma ta je koi?...kajer somoy ma ke khuje pache nah meyeta. ai prothom kishu nah guchiye pagoler moto meye ta chute der hoy...ohh thanks God...Driver aj agei chole alo.....meye ta chute cholche bolbo nah..karon Dhaka city er traffic jam oke chute cholte dicche nah....ar meyetar mon to ar valo nai..aktu aktu pagol pagol....airport e johon poucholo tokon ghorir kata 11 ta chuichui.....dur thake oke chine parlo meye ta...gari ta park holo ki nah holo ak doure chute der hoy o....cheletar khub kache pouche or sharee joriye pore jete thake ... akta shokto haat oke dhore phello....je haat ta or jonno bariye chilo atodin.... meye ta chokhe jol..aktu aktu chokh lal hocche...chokher pani atke rakhte parche nah o...kedekate akdom akakar..sotti bolchi or chokher ronger sathe lal tip tar ar kono parthokko nai....or kopale aj tinte tip....

Unstable Mind

I just think sometimes how it would feel if I can do or can say anything of my mind without polishing it up or faking all the time. From the morning till the night all we do is pretend, pretend to be smart, civilized, calm, all those we are not, but denying the inner self which is wild happy and exciting. I can write it now but after writing all these word I will be back to the basic pretending game again, only say things that other people would appreciate in appropriate manner, it is life it is what being civilized means can’t deny that, can we? It will be a chaotic situation if everyone starts to say or things of their mind without considering others, but some moments are just should only to ourselves only to listen and obey our mind our feelings not faking anything. It is refreshing to act exactly how I am feeling inside, it is also funny. All good things are funny or sweet, and all bad things are grumpy and boring.

We can say that I am not a political person, but it will be a huge lie, we all do politics, we all are diplomat somehow, we talk, we plan, we manipulate people, and all of us want to shape situation according to our own needs, so how can we say that we are not political? Human mind is a complex thing and we created our society very intricately, with so many rules dynamics, patterns, and consequences, that natural instinct is not very common to us anymore, we do live in a complicated atmosphere and so we do stuff politically, little or in a bigger manner we all do politics. It comes naturally to us what is not natural to us is act normally just act like we feel.

Doing things according to a fix rule, or act as planed before, is a safe way to do stuffs, but doing something new out of the box, totally different, is not a easy, that needs a brave heart a little bit of a crazy mind, a dreamer. The earth evolves a star dies a universe change, time passes nothing is stable but in a small life time we humans thing all around us all the rules, all the rituals all the social norms like it always been the same and will be, but it is a illusion, nothing stays same forever, it is the greatest gift of nature, the uncertainty of living. We can do new things dream new things, believe in new ideas we can break our barrier and can be free.

I am a normal person, going to live a tiny life comparing to this huge universe, nothing around me is stable or forever, I am not bound in anything everything is changing around me the stars the universe the nature so why I have to be so settle so calm and so safe all the time?

Saturday, March 2, 2013

Inner darkness....

 
Dark!!!!!

Dark is light in disguise, everything is same; but still we all afraid of darkness, its natural for us, its feels like something unknown hiding in the dark, waiting, lurking around. Why is it so?? the same atmosphere is around us becomes mysterious and scary in the absence of the light, its kinda funny also, the fear of seeing nothing makes our skin cold. But night is so soft and easy, feels cozy with the stars sprinkling in the dark sky.

Why we are so easily get scared by darkness?? why we so much think about it and afraid of it? I think we are not so much afraid of the outer darkness but the inner darkness lurking about in the corners of our minds, we miss to spot them, we look for them but hide them from our consciousness the ancient wild feeling the instinct of dark and mystery all in our mind living with us from the dawn of our existence, the feeling of the first fire fighting with the obvious darkness around us, the waiting of the black fog around that fire the struggling of the first human beings to continue the light roaring in a fiery sound, all of those moments still lives with us, we all are afraid of the obvious darkness and still fighting to light that first fire to keep that darkness out, this constant struggle makes us vulnerable to the darkness within us.

Nothing creative can come out from denial first we have to accept the ancient darkness within us then accept all around us in light or in its complete absence, then look for other feeling scatter around, then the dark becomes a resting place, nothing scary just a calm cozy situation for mind to rest just like night beautiful soft exciting with little sparkling stars all up in the dark sky helping us to feel comfortable like our ancestors before the first fire.

Compromise

I have a topic left to think about, and this one emotion, is the deciding factor of my life. How should I judge it?
“Compromise” is one hell of a word.
“Powerful people never compromise”
………………………………………..Is the statement right?
OR
“Weak people always compromise”
………………………………………...Is this wrong?
For me, these two statements are very confusing. I am not able to understand so as to what conclusion should I draw from them. Should I follow the first one or should I accept the second one? Should I shun the former or reject the latter? Should I compromise or should I not? And above all…WHEN and WHEN NOT…??
Confusion is in the air…
Compromise has become or rather say, is a part of everyone’s life, but how you treat it, negatively or positively or when it works for you favorably, and when against, pushes you into two criteria altogether. Any of these are always against you, because may be you make a compromise and then are affected favorably then you did MAKE a COMPROMISE. If you don’t compromise and it works against you then also you are in a trouble. What say?
What others think is not important but it always is important, that God looks at, and knows everything.
Now, the question arises so as to where should we, and where should we not, compromise with a particular situation. Going morally and spiritually and also knowing fully well that the Almighty is always there, watching us, I say we have to compromise with things and not with some. Confusion again, what about the personal desires of a person? Shouldn’t one try to make everything that he or she wants, to come true. I mean not the things which are ethically wrong, but those which are not.
Let me propose a new confusion…
Under what circumstances should we compromise and then again…how? I am totally confused. Love, war, relations ethics, work…all in all, situations which are innumerable.
The biggest question, why does it happen most of the times when we don’t want any obstruction on the smooth road of life that we always desire to have?
There are people who compromise on every turn of their lives and still some, who turn and mix them up with them up with their desired path to broaden it up as and how they like. Uhhh…again a question…!
When, How and Why should we?
Then if we do, are we justified and if we don’t, then also am I…justified?
So all in all, compromise is one mind boggling word for me which means and implies confusion of sorts. It disturbs the scenario of my life as well.
Decisions fall beyond hazy foreground and my feelings create a big labyrinth for me.
Perhaps…an unanswerable question or a crown of innumerable nails with questions which disturb…
©Creations of an unstable mind