Thursday, October 10, 2013

তুমি কি তখনও উষ্ণতায়?


মেঘলা , শুভ্র এক মেঘ...
 
বছরের এই সময়টাতে আমি গত বেশ কয়েক বছর ধরেই আমি কিছুটা নস্টালজিয়াতে ভুগি। এখন ভেজা রাত্রি। শিশিরের ন্যায় টুপটাপ কিছু বৃষ্টি পড়ছে। মেঘলা কেতকী ফুলের ঘ্রাণে মনমাতাল প্রায়! ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঝাপসা লেপ্টানো চাঁদ উঁকিঝুঁকি মারছে মেঘের চাঁদর ভেদ করে। চাঁদের কোন আকার নেই এখন, মনে হচ্ছে কেউ একজন শাদা রঙ গুলে ঢেলে দিয়ে চাঁদকে নিরাকার করেছে। শরীরবৃত্তীয় গোপন অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে শরীরময়! কোন এক অদমনীয় কামনায় অজাগতিক কষ্ট ভর করে শরীরে। আর তখন আমিও নিরাকার চন্দ্রের ন্যায় শরীর ছেড়ে বেড়িয়ে পড়ি। অশরীরির কোন শারীরিক কষ্ট নেই জেনে আমি কেবলই অশরীরি হতে চেয়েছি। গাণিতিক সুত্রে বের করতে চেয়েছি শারীরিক আর মানসিক কষ্টের আনুপাতিক হার।  
আর তোমার মত করে আমিও মনকে শরীরের গন্ডীতে আবদ্ধ করতে চেয়েছি। কিন্তু পারিনি। তুমি যখন কোন গভীর উষ্ণতায় ডুবে যাও আমি তখন নিরাকার হয়ে ঘুরে বেড়াই গ্রহ থেকে নক্ষত্রে! অথবা অঘুমো আমি চলে যাই গভীর শীতনিদ্রায়। কোন উষ্ণতাই তখন আমায় জাগ্রত করতে পারেনা। র‍্যাপিড আই মুভমেন্টে কোন স্বপ্নও দেখিনা। অথবা বলা চলে স্বপ্ন দেখিনা বহুকাল। কিছু ছাড়া ছাড়া আত্মা কাঁপানো দুঃস্বপ্ন ছাড়া কিছুই আজকাল দেখিনা। এইতো সেইদিন দুঃস্বপ্ন দেখলাম- সিএনজির মধ্যে বাসের চাপায় পৃষ্ট হয়ে পড়েআছি !অস্থির হয়ে ঘুম থেকে উঠতে চাই,কিন্তু জাগতে পারিনা... আমি পাশে কোন উষ্ণ স্পর্শ পাই না। কেউ আমাকে অভয় দিয়ে বলেও না "কিছুনা, এইতো আমি"... কারো স্পর্শের আকুলতায় দুঃস্বপ্নটি রূপ নেয় কামনায়! এরপরে আমি আর জাগিনা। অদ্ভুত কোন এক তরুনির শিয়রের পাশে ঘুমাইও না। না জেগে, না ঘুমে কি এক অর্বাচীন কষ্টে প্রহর কাটে...
অন্ধকার রাত্রির বুক চিরে রক্তাক্ত আলো বের হয়, মুয়াজ্জিন গলা খাঁকারি দিয়ে আজান দেয়। নেশাগ্রস্থ কোন মাতালের ন্যায় রক্তাক্ত চোখ মেলে তাকিয়ে ভোর দেখি। ভেজা বালিশ উলটে দিয়ে ব্যালকোনীতে এসে দাঁড়াই। শিউলী ফুলের ঝরে পড়া ঘ্রাণ নেই বুক ভরে... কেতকী ফুলের ম্লান ঘ্রাণও ভেসে আসে বাতাসে!

মেঘলা, তুমি কি তখনও উষ্ণতায়?


 

No comments:

Post a Comment