Monday, October 14, 2013

উৎসর্গ : নাবালিকা


১০ই মার্চ এক বন্ধুর মাধ্যমে ফেসবুক এ এক নাবালিকা' ( ফেসবুক এর নাম, হয়তবা আসল নাম ও এটাই) সাথে পরিচয় হয় এক পাগলের ফেসবুকে অ্যাড করে রাত ১০ টা ০২ মিনিটে কথা হয় অনেক, প্রতিদিনের কথাগুলো যেন হঠাৎ করে শুধু তাকেই বলতে ইচ্ছা হয় সেই নাবালিকা' প্রত্যেকটা কথায় যেন খুঁজে পেতে থাকে এক ধরনের মিল, অস্তিত্বের মুখোশে হারিয়ে যাওয়া কেউ হঠাৎ করেই খুঁজে পেতে থাকে সবকিছু কেমন যেন এক অনুভূতি, দুর্ধর্ষ টর্নেডো যেমন থেমে যাবার আগে সর্বশেষ চেষ্টা করে সবকিছু ধ্বংস করে দেবার, মানুষও অনেকটা এমনি, যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখনি কিন্তু শেষ মরণকামড় দেয়ার অপেক্ষায় থাকে হারিয়ে যাওয়া অস্তিত্বটাও হয়তো শেষবারের মত মানুষ হবার চেষ্টা করছিলো প্রাণপণে, কিন্তু কোন প্রভাবক না থাকায় বারবার সেই আঁধারেই লুটিয়ে পড়ছিল অস্তিত্বের ভেতর থেকে প্রতিনিয়ত একটা আওয়াজ বেড়িয়ে আসতে চাইছিল, কিন্তু পাগল কখনও ঠিক মত বুঝতে পারেনি সেই আওয়াজের তাৎপর্য কিন্তু সেদিনের পর থেকে পাগলের ঘুম হয়না ঠিক মত, বারবার ছুটে আসে অনিদ্রার পোকামাকড়; ধুম হয়না একদম নাবালিকার সাথে কথা বললে স্বাভাবিক থাকে, অথচ অন্য সময় কেমন যেন হয়ে যায়; অনুভূতিগুলো পুরোপুরি অদেখা, অশ্রাব্য, অতীন্দ্রিয় ১৪ই মার্চ কাগজ আর কলম নিয়ে হঠাৎ করেই লিখে ফেলল একটা কবিতা, নাম দিয়ে দিল "নাবালিকা" সবকিছুই ছিল নাবালিকার অগোচরে, হয়তো সেদিন নাবালিকা প্রশ্ন না করলে কোনোদিন জানাও হতো না নাবালিকা অনেকটা অধিকার নিয়েই প্রশ্ন করে বসলো যে কে এই "নাবালিকা" !! পাগল ভয়ে ভয়ে বলে দিলো সব কথা, রাত তখন ১২ টা ৩৬, ১৫ই মার্চ পাগলের মুখে এমন কথা শুনে কবিতার সেই নাবালিকা একদম চুপ এত নিশ্চুপ নীরবতায় রাত কাটতে না চাইলেও কেটে গেলো নির্ঘুম হয়ে পাগলের পাগলামি ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো, পৃথিবীর সমস্ত যুক্তি দিয়ে, নিজেকে বুঝতে লাগলো, ভালবাসতে শিখল তারপর সেই নাবালিকা কে বোঝানোর পালা  অথচ কী করলে বা বললে নাবালিকা খুশি হবে তার কিছুই সে জানে না, তবুও চেষ্টা করে যেতে লাগলো প্রতিদিন তাকে নিয়ে কবিতা লিখে শুরু করলো পাগলামির নতুন মাত্রা প্রথমদিকে বিব্রত বোধ করলেও ধীরে ধীরে বদলাতে থাকলো সব পাগল বুঝতে পারলো তার সেই নাবালিকা হয়তো একদিন তাকে ভালবাসবে এপ্রিলের তারিখ রাত ১২ টা ১৬ মিনিটে বলতে গেলে হঠাৎ করেই নাবালিকা বলে দিলো তার সম্মতির কথা পরদিন তারিখ সকাল ৭টার দিকে নাবালিকার ফোন পেয়ে ঘুম ভেঙ্গেছিল পাগলের, কথোপকথনের সময় মাত্র ৩১ সেকেন্ড প্রতিদিন কথা বলা শুরু হল তারপর আসলো ১৪ই এপ্রিল, পয়লা বৈশাখ ঘুম থেকে উঠেই পাগল ছুটে গেল নাবালিকা কে দেখার জন্য বাসা থেকে ১০ মিনিটের কথা বলে নাবালিকা' সাথে ছিল ঘণ্টা ২৩ মিনিট সেই এপ্রিলের পর থেকে আজ অবধি পাগল পুরোপুরি নাবালিকার ভেতর লুকিয়ে গেছে, যেখান থেকে অন্য কেউ হয়তো কোনদিন বের করতে পারবে না, নাবালিকা ছাড়া পাগলের সাথে প্রায়ই ঝগড়া হয় নাবালিকার, খুনসুটি হয় ছোট ছোট বিষয়ে তবু নাবালিকা আজও তার সেই পাগলকে ভালোবাসে, আর পাগল তো অনেক আগে থেকেই পাগলামির চূড়ান্ত সীমায় পাগল জানে সে মাঝে মাঝে নাবালিকাকে অযথা কষ্ট দিয়ে ফেলে কিন্তু পাগল কখনও সত্যিকার অর্থে কষ্ট দিতে চায় না, একটু ঝগড়া, মনোমালিন্য না হলে ভালোবাসার মর্ম বুঝবে কি করে !! আজ ২রা মে, নাবালিকা আর পাগলের জন্মদিনের মাস পূর্ণ হল এই জন্মদিন তাদের সম্পর্কের, তাদের বিশ্বাসের, তাদের অস্তিত্বের জানি, সময়টা খুব অল্প, হয়তো হাসছেন যে নতুন নতুন প্রেম করলে এমনি হয় কিন্তু, এটা দিব্যি দিয়ে বলতে পারি আগামী ৪০/৫০ বছর পরেও তাদের একসাথে দেখে একথা বলতে পারবেন না

নাবালিকা, তোমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার মত সত্যিই কিছু নেই আমার তাই তোমাকে নিয়ে লেখা কয়েকটা কবিতা তুলে দিলাম আবার:

No comments:

Post a Comment