Tuesday, September 24, 2013

ক্যাচাল : অনু পরমানু


কোন এক কালে চা খাইতে খাইতে এক নাস্তিক ভাইজানে কইতেছিল, পরকাল নাই। আমি কইলাম, আইচ্ছা ঠিক আছে, পরকাল না থাকলে নাই, বাইচা গেলাম। তয় এক্টু কোশ্চেন আছিল, আপনের সায়েন্স কি বলে? উত্তর পাইলাম, সায়েন্সের ভাষায় পরকালের কোন প্রমান নাই, কেউ পরকাল দিয়া আইসা আমাগো পরকালের নির্ভেজাল বস্তুবাদী প্রমান দেখায়া দেয় নাই, যেইদিন দেখাইবো, সেইদিন পরকাল আছে বইলাই মানবো

কইলাম, আপনেরে রক্তমাংস দিয়া বানানো বডিটার সবচাইতে লঘিষ্ঠ বিল্ডিং ব্লক হইলো অনু, সেইটা মানেন? নাস্তিক ভাই মাথা দুলাইলেন। উনি মানেন। তাইলে বলেন, আপনি মরলে তো আপনের বডির অনু পরমানুর তারতম্য হয় না, খালি আপনের এই নাস্তিক চৈতন্য মইরা যায়, সেই চৈতন্যটা কোন অনু দিয়া বানানো হইছে?

নাস্তিকে কয়, চৈতন্য যে অনু দিয়া বানাইছে, এইটার প্রমান কোন সায়েন্স দিয়া পাইলেন? আমি কইলাম কোন সায়েন্সে তো নাই, আপনিই বলেন চৈতন্য বা কনশাসনেস যে অনু পরমানুর তৈরী না, সেইটা তো স্বীকার করলেন, এখন বলেন সবার চেতনা কি এক? একজন ফাইভ পাশ চাষা আর একজন ডাক্তারীর প্রফেসরের চেতনায় কি ব্যাসকম আছে? উত্তর আসিল, ব্যাসকম আছে

আমি কহিলাম, একই অনু পরমানু দিয়া তৈরী মানুষের মধ্যে যদি চেতনায় ব্যাসকম থাকতে পারে, একজন মৃত জীবিত মানুষের মধ্যেও চেতনায় ব্যাসকম থাকতে পারে, এইটা কেমন হাইপোথিসিস? নাস্তিক হাসিয়া কয়, মইরা গেলে ব্রেইন একটিভিটি থাকে না, এইটা জানেন না? চেতনা পাইবেন কই?

জওয়াবে কইলাম, সেইটাই কথা, আপনিই কইলেন চেতনা থাকে না সবার সমান সমান, কোন এক লোক নিজেরে নবী দাবি কইরা পরকালের গল্প শুনাইলেন আপনের চেতনায় সেইটা নাও গাইথা যাইতে পারে, আমার চেতনায় সেইটা গাইথা গেছে। এখন মইরা গেলে সেই চেতনা আপনার মতে ফুরুৎ কইরা মিলাইয়া যায়, আমার মতে সেই চেতনা অশরিরী হইয়া ঘুইরা বেড়ায়। এখন আমার মত তো বিশ্বাসে প্রতিষ্ঠিত, আপনের মত সায়েন্সে। আপনে সায়েন্সের লোক হইয়াও না দেখা না ছোয়া চেতনায় বিশ্বাস করেন, কিন্তু আমার মত না দেখা না ছোয়া পরলোকে বিশ্বাসী লোকরে নিয়া হাসেন, এইটা কেমুন কথা হইল?

ভদ্রলোক অনেকদিন এরপর আমার লগে ক্যাচালে আসেন নাই, উনারে মিসাই.....



No comments:

Post a Comment