Wednesday, September 4, 2013

নৈর্ব্যক্তিক বেদনা পুষেও গান গেয়ে হেঁটেছি তোদের শহরে .....

 
এক পা, দু পা করে পিছিয়ে যাও ঘন অন্ধকারে। একদিন … দু’দিন … তিন দিন… তারপর একদিন গভীর চোখে তাকাও ধূসর পর্দার ওপাশে। দেখবে চার, তিন, দুই, এক কিংবা শূণ্য … ! শ’চারেকের মধ্যে এইতো এ ক’জন একটা নাম তোলে রাখবে অতীতগন্ধী তোরঙ্গে ।

“ আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ!
সচ্চরিত্র ফুল আমি যত বাগানের মোড়ে লিখতে যাই, দেখি
আমার কলম খুলে পড়ে যায় বিষ পিঁপড়ে, বিষের পুতুল!”
– (আবুল হাসান)

কোন কোন কবিতার ঘ্রাণ নিয়ে দেখো, ঠিক যেন তোমার যন্ত্রণাটা গুমরে উঠছে উচ্চারণে। তোমায় ফিরতে হবে অতঃপর। ক্লান্ত - শ্রান্ত - ক্লিশিত - ভঙ্গুর তুমি, কুৎসিত কাকটার চেয়েও অধম তখন। তোমার তো ডানাটুকু নেই, ডাস্টবিনের মতোন কোন অবলম্বন নেই। এমনকি আবর্জনার মতোন কোন নির্ভরযোগ্য পুঁজিও নেই তোমার তখন।

“ কেউ বা ফিসফিস করে বলেছেন, সত্যি
সম্ভাবনা ছিলো! কেবল আমি জেনে গেছি লোবানের ঘ্রাণে আসলে পরাজিত মৃত্যুর
কথাই লেখা থাকে!”
– (সুমন সুপান্থ)

পরাজিত নাম আর কার প্রয়োজন?! আর কি কি চাও বলো তো? অনেক প্রাপ্তির চাহিদা তখন নগরের নিস্তব্ধ দুপুরের নিঃসঙ্গতাকে চিরে, কেটে, গুঁড়িয়ে দেবে অসহ্য অপমানে।
পুনরায় তুমি নিশ্চিত থেকো, তবু, তোমার কবিতাই মনে পড়বে –

“অনেকদিন দেখা হবে না
তারপর একদিন দেখা হবে।
দু’জনেই দু’জনকে বলবো,
‘অনেকদিন দেখা হয়নি’।
এইভাবে যাবে দিনের পর দিন
বৎসরের পর বৎসর।
তারপর একদিন হয়ত জানা যাবে
বা হয়ত জানা যাবে না,
যে
তোমার সঙ্গে আমার
অথবা
আমার সঙ্গে তোমার
আর দেখা হবে না।”
– (তারাপদ রায়)

অতএব ফের একটা ঘুড়ি কাটা পড়লো দেখে, অহেতুক মন কেমনের অপরাহ্ণে অর্থহীন ভাবালুতায় কলম পিষে যাবে। তখন অযথাই কিছু কথা কিংবা ঘটনার দোলাচলে অনেক কথা উঁকি দিলে গোটাকতক বিকেল কাউকে না কাউকে বিলিয়ে দিতে ইচ্ছে করবে।

No comments:

Post a Comment