Wednesday, June 24, 2015

রাত্রি এবং নৈঃশব্দবতী

রাত্রি ঘনিয়ে এলে জানালায়- ঘুম ঘুম-
শার্সিতে অলৌকিক চিত্রপট।
আলো নিভলে আলোকিত হয়ে- চলচ্ছক্তিহীন-
তোমার বুকের ধার ঘেঁষে বসে হাত ধরি,
-"খুব কি দেরি হলো?"
ডাইম- নিকেলের সাথে ঝনঝনে শব্দরা
দেদারসে খরচ হয় দিনমান- পরিত্রাণহীন দুপুর
আলস্যে ভেঙে যাই বালির বাঁধ, সমুদ্র দুকূল,
উদ্গত সুর মুঠোয়- পাড়ি দেই ক্যাবো সান লুকাস,
আকাপালকো,
কিছু অভিঘাত, সংশয়।
কাপড়ের শুদ্ধতায়ও শব্দছায়া ঢুকে পড়ে- চুপিসারে
বদলে যায়। কিছু শব্দ কোকুনে; সোনামনির বল হয়ে
এইতো, এইমাত্র, একটি শব্দ
গড়িয়ে গেলো সিঁড়িতে।
অভিমানী শব্দ এক- ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে- যেমন
ছলাৎ বৈঠা মেরে চলে উজানগামী যুব শব্দ।
রেশমী বালাপোষ এ রাত একান্ত আমার। জেনেছ তো,
স্বর্গসিঁড়ির ব্যানিস্টার ধরে বন্ধুর সাথে
কোলাহলরত যে তরুণী, আমি সে নই।
ম্যাটিনী শো'তে অঝোরে কেঁদেছে যে জন, গতকাল-
অথবা বিড়বিড় আক্রোশে আর ক্ষোভে
যে মেয়েটি আজ রাতে মারা যাবে- সেও নই আমি।
নিশ্চেতন অবসরে
শব্দক্লান্ত আমি নীরবতাকে বেছে নিই।
তোমার বুকজুড়ে শূন্যতার ফুল- একে একে গুনি,
এলোচুলে গেঁথে নিই -
জোছনা-রোদ্দুরে বিবশ শব্দহীন- "আছো?"
দিকশূন্যপুর থেকে ধ্বনি ফিরে আসে-
'আছি, নৈঃশব্দবতী।
আমি যে তোমাতেই বাঁচি!'
রাত্রি ঘনিয়ে এলে জানালায়- ঘুম ঘুম-
শার্সিতে অলৌকিক চিত্রপট।

No comments:

Post a Comment